1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এখন তুমি দেখবে আমি ফরৌণের প্রতি কী করব: আমার শক্তিশালী হাতের কারণে সে তাদের যেতে দেবে; আমার শক্তিশালী হাতের কারণে সে তাদের তার দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে।”
2 এছাড়াও ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “আমিই সেই সদাপ্রভু। 3 সর্বশক্তিমান ঈশ্বররূপে[a] আমি অব্রাহামের, ইস্হাকের ও যাকোবের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলাম, কিন্তু সদাপ্রভু[b]—আমার এই নামে পুরোপুরিভাবে আমি তাদের কাছে নিজের পরিচয় দিইনি। 4 যে কনান দেশে তারা বিদেশিরূপে বসবাস করছিল, সেটি তাদের দেওয়ার জন্য আমি তাদের সাথে আমার নিয়ম প্রতিষ্ঠিতও করেছিলাম। 5 এছাড়াও, আমি সেই ইস্রায়েলীদের কান্না শুনেছিলাম, যাদের মিশরীয়রা ক্রীতদাস করে রেখেছে, এবং আমি আমার নিয়ম স্মরণ করলাম।
6 “সুতরাং, ইস্রায়েলীদের বলো: ‘আমি সদাপ্রভু, এবং মিশরীয়দের জোয়ালের তলা থেকে আমি তোমাদের বের করে আনব। তাদের ক্রীতদাস হয়ে থাকার হাত থেকে আমি তোমাদের স্বাধীন করব, এবং এক প্রসারিত হাত ও মহৎ দণ্ডাদেশ সহ আমি তোমাদের মুক্ত করব। 7 আমার নিজস্ব প্রজারূপে আমি তোমাদের গ্রহণ করব, এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হব। তখন তোমরা জানবে যে আমিই তোমাদের সেই ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশরীয়দের জোয়ালের তলা থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন। 8 আর উদ্যত হাত দিয়ে আমি তোমাদের সেই দেশে নিয়ে আসব, যেটি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা আমি অব্রাহামের, ইস্হাকের ও যাকোবের কাছে করেছিলাম। এক অধিকাররূপে আমি সেটি তোমাদের দেব। আমিই সদাপ্রভু।’ ”
9 মোশি ইস্রায়েলীদের এই খবর দিলেন, কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাসহীনতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে তারা তাঁর কথা শোনেনি।
10 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, 11 “যাও, মিশররাজ ফরৌণকে তার দেশ ছেড়ে ইস্রায়েলীদের যেতে দিতে বলো।”
12 কিন্তু মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “আমি যেহেতু কম্পমান ঠোঁটে কথা বলি[c] তাই ইস্রায়েলীরাই যখন আমার কথা শুনছে না, ফরৌণ তবে কেন আমার কথা শুনবেন?”
13 ইস্রায়েলীদের ও মিশররাজ ফরৌণের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণের সাথে কথা বললেন, এবং ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনার আদেশ তিনি তাঁদের দিলেন।
26 এই হারোণ ও মোশিকেই সদাপ্রভু বললেন, “বিভাগ ধরে ধরে তোমরা ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনো।” 27 তাঁরাই—এই মোশি ও হারোণই ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনার বিষয়ে মিশররাজ ফরৌণের সাথে কথা বললেন।
28 এদিকে সদাপ্রভু যখন মিশরে মোশির সাথে কথা বললেন, 29 তখন তিনি মোশিকে বললেন, “আমি সদাপ্রভু। আমি তোমাকে যা যা বলছি সেসব কথা মিশররাজ ফরৌণকে গিয়ে বলো।”
30 কিন্তু মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “আমি যেহেতু কম্পমান ঠোঁটে কথা বলি, তাই ফরৌণ আমার কথা শুনবেন কেন?”
<- যাত্রা পুস্তক 5যাত্রা পুস্তক 7 ->