ঈশ্বরের কাছে তাড়াতাড়ি করে

হৃদয় কোনো কথা উচ্চারণ না করুক।

আর তুমি পৃথিবীতে আছ

অতএব তোমার কথা যেন অল্প হয়।

তেমনি অনেক কথা বললে বোকামি বেরিয়ে আসে।

4 ঈশ্বরের কাছে কোনো মানত করলে তা পূর্ণ করতে দেরি কোরো না। বোকা লোকদের নিয়ে তিনি কোনো আনন্দ পান না; তোমাদের মানত পূর্ণ কোরো। 5 মানত করে তা পূরণ না করবার চেয়ে বরং মানত না করাই ভালো। 6 তোমার মুখকে তোমাকে পাপের পথে নিয়ে যেতে দিয়ো না। এবং মন্দিরের দূতের কাছে বোলো না, “আমি ভুল করে মানত করেছি।” তোমার কথার জন্য কেন ঈশ্বর অসন্তুষ্ট হয়ে তোমার হাতের কাজ নষ্ট করে ফেলবেন? 7 অনেক স্বপ্ন দেখা এবং অনেক কথা বলা অসার। সেইজন্য ঈশ্বরকে ভয় করো।

যে লোক ধনসম্পদ ভালোবাসে সে তার আয়ে কখনও সন্তুষ্ট হয় না।

এটাও অসার।

তা ভোগ করবার লোকও বাড়ে।

সেই সম্পত্তিতে মালিকের কী লাভ?

তারা কম খাক কিংবা বেশি খাক,

তাদের ঘুমাতে দেয় না।

13 সূর্যের নিচে আমি একটি ভীষণ মন্দতা দেখেছি

14 কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে তা ধ্বংস হয়ে যায়,

উত্তরাধিকারসূত্রে তার কিছু থাকে না।

সে যেমন আসে তেমনই চলে যায়।

যা তারা হাতে করে নিতে পারবে।

16 এটাও একটি ভীষণ মন্দতা

কারণ তারা বাতাসের জন্য পরিশ্রম করে

তাতে তাদের লাভ কী?

আর ভীষণ বিরক্তি, যন্ত্রণা ও রাগ উপস্থিত হয়।

18 ভালো হলে কী হয় তা আমি লক্ষ্য করলাম ঈশ্বর সূর্যের নিচে মানুষকে যে কয়টা দিন বাঁচতে দিয়েছেন তাতে খাওয়াদাওয়া করা এবং কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে তৃপ্ত হওয়াই তার পক্ষে ভালো এবং উপযুক্ত কারণ ওটিই তার পাওনা। 19 এছাড়া, ঈশ্বর যখন কোনো মানুষকে ধন ও সম্পত্তি দেন তখন তাকে তা ভোগ করতে দেন, তার নিজের জন্য একটি অংশগ্রহণ করতে দেন ও নিজের কাজে আনন্দ করতে দেন—এটাই ঈশ্বরের দান। 20 তারা কদাচিৎ তাদের জীবনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকায়, কারণ ঈশ্বর তার মনে আনন্দ দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখেন।

<- উপদেশক 4উপদেশক 6 ->